মঙ্গলবার , ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের পত্রিকা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. একদিন প্রতিদিন
  7. কোভিড-১৯
  8. খেলা
  9. চাকরি
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. জনপ্রিয় সংবাদ
  12. জাতীয়
  13. ডাক্তার আছেন
  14. দরকারি
  15. দৃষ্টিপাত

গোয়াইনঘাটে ফের দায়িত্ব পেলেন বিতর্কিত সাবেক ওসি আহাদ: জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রতিবেদক
ekhonsongbad
ডিসেম্বর ২, ২০২৫ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে আবারও দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল আহাদ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের ৫২৭টি থানায় লটারির মাধ্যমে নতুন ওসি পদায়নের তালিকায় তিনি গোয়াইনঘাট থানার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেটের চার জেলার ৩৯টি থানাতেও একই প্রক্রিয়ায় ওসি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওসি আহাদের ফের গোয়াইনঘাটে পদায়নের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল আহমদ তার পোস্টে অভিযোগ করেন, “আগের লাইন আবার চালু হবে… ডেবিলরা শান্তিতে থাকবে।”
ওসি আবদুল আহাদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ ওঠে-যার একটি ২০২১ সালে করা কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা, যা আদালত দুদকে তদন্তের জন্য পাঠায়। মামলার বাদী ছিলেন জাফলং নয়াবস্তি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনছান আলী। এ মামলায় ওসি আহাদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে সহযোগিতা, আর্থিক ফায়দা গ্রহণ এবং বাধা দিলে মুক্তিযোদ্ধার ওপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
তবে ওসি আহাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বলে জানা যায়।
ওসি আহাদের নাম আলোচনায় আসে আরেকবার ২০১৯ সালে ছাত্রদল নেতা আন্নু মালিক লিটনকে গ্রেপ্তার-নির্যাতন এবং পরবর্তীতে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগের ঘটনায়।
২০১৮ সালে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আহাদ হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচার এবং সাড়ে ৪ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের মামলার আসামি আবদুল আহাদ।
লিটনের পরিবার ও দল বিএনপির দাবি- তাকে প্রথমে নিখোঁজ করা হয়, পরে জাফলং চা-বাগান এলাকায় ‘ক্রসফায়ারের প্রস্তুতি’ নেওয়া হয়েছিল, জনমনে বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে গেলে ১ কেজি হিরোইনসহ আটক দেখানো হয়, থানা হেফাজতে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
লিটন পরিবারের অভিযোগ-জব্দ দেখানো হিরোইন আসলে ময়দা ছিল এবং সেটির কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। তবে মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর লিটনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। লিটনের পরিবার ও বিএনপি এই মামলাকে “ফরমায়েশি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” দাবি করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন।
অতীতের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি আহাদকে গোয়াইনঘাটে ফের দায়িত্ব দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একই সঙ্গে লিটনের পরিবার বলছে- “ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা থামবেন না।”
সংশ্লিষ্ট স্থানীয় মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে যে ওসি আহাদের মেয়াদকালে গোয়াইনঘাটে অবৈধ পণ্য পাচার, সীমান্তজুড়ে চোরাচালান, বালু-পাথর সিন্ডিকেট ও খেকো-চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এসব কর্মকাণ্ডে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

সর্বশেষ - জাতীয়