বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের পত্রিকা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. একদিন প্রতিদিন
  7. কোভিড-১৯
  8. খেলা
  9. চাকরি
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. জনপ্রিয় সংবাদ
  12. জাতীয়
  13. ডাক্তার আছেন
  14. দরকারি
  15. দৃষ্টিপাত

আমাদের শহরের বৃহস্পতিবার

প্রতিবেদক
newsupload
নভেম্বর ১৪, ২০২৪ ৩:৩১ অপরাহ্ণ

তাসলিমা খানম বীথি :
সেদিন আমাদের কারো গল্প কবিতা কিংবা ছড়া প্রবন্ধ ছিলো না। ছিলো সাহিত্যের প্রাণের আড্ডা। অনেকদিন পর কেমুসাসে সাহিত্য আসরে অনেকের সাথে দেখা। আমাদের শহরে বৃহস্পতিবার আসে আর বেলা কাটে তারই অপেক্ষা। প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার জন্য আমরা অপেক্ষা করতাম। নিজেদের লেখা পাঠে জন্য কি যে অপেক্ষায়। সন্ধ্যা হতেই লেখকরা জড়ো হতেন। তখন আমি নিয়মিত লেখাপাঠে অংশ নিতাম। আমাদের তরুণদের লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচক থাকতেন কবি মুসা আল হাফিজ, কবি বাছিত ইবনে হাবীব। ক্লাস টিচারদের মতই স্নেহ শাসনে আমাদের লেখাগুলো সমালোচনা করতেন মুসা ভাই ও বাছিত ভাই। কান পেতে শুনতাম। কারো মন খুশি হতো কারো চোখদুটি জলজল করতো। সাহিত্য আসর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকেই চলে যেতো আমরা কিছু তরুণ লেখকরা জড়ো হয়ে আবার নিজেরাই নিজেদের লেখা নিয়ে আলোচনা করতাম। কেমুসাস থেকে বের হয়ে ব্লুমেগ্য জম্পেস নাস্তা সেখানে সাহিত্য নানাবিদ কথা চলত। সিনিয়র জুনিয়র তরুণ্যতা ভরপুর থাকতো। কেমুসাসের সাথে দীর্ঘদিন থেকে সাথে থাকায় অনেকে মনে করে কমিটির সদস্য একজন। বেশিভাগ লেখকই আমাকে কল করে বিভিন্ন বিষয় জানতে চায়। কেমুসাসের যে কোন কাজে আমি লেখকদেরকে সহযোগিতা করতে পারলে আনন্দিত হই।
2.বর্তমান যখন অতীত হয় আনন্দের বেদনার কাতর করে হৃদয়কে। কেমুসাসে আসর শেষ হলেই আমরা সমসাময়িক একঝাক তরুণ লেখক ছড়াকার শাহ মিজান, গল্পকার বাশিরুল আমীন, গল্পকার জীম হামযা, কবি জালাল জয়, কবি মিনহাজ ফয়সল, গীতিকবি আব্দুস শহীদ মাটি আরো অনেকেই মিলে আড্ডা চলতেই থাকতো। কফি হাউজের মত এখন নেই তরুণদের সাহিত্য আড্ডা। তারপর একটানা 4বছর সাহিত্য আসর নিয়মিত উপস্থাপনা করি। এখন সাবেক উপস্থাপক হলেও সাহিত্য আসরে গেলেই লেখকরা আমাকেই উপস্থাপক ভেবে বলে ফেলেন বীথি শুরু কর সময় হলো।
3. সেদিনের অনেক তরুণরা জীবনের প্রয়োজনে কেউ দেশে বিদেশে কর্মব্যস্ত জীবন পার করছে। তবে আনন্দের কথা হলো আমাদের প্রত্যেকের বই বের হয়েছে। লেখক হবার পিছনে সাহিত্য সমালোচনা বিশেষ অবদদান রাখে। যারা সাহিত্য সমালোচনা সহ্য করতে পারে না তারা কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের মত এখন আর কাউকে দেখি না আজকাল সাহিত্য সময় দিতে।
চোখের পলকে দিনগুলো চলে গেলো। আজো মিস করি সেই দিনগুলো। শতব্যস্ততার মাঝেও সৃজনশীল কাজের মধ্যে একটু আনন্দ খুঁজে নেওয়া সেই মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। ভালো থাকুক দূরের কাছের প্রিয়জনরা।
তাসলিমা খানম বীথি
লেখক সাবেক উপস্থাপক ও জীবন সদস্য।
কেমুসাস সিলেট।

সর্বশেষ - জনপ্রিয় সংবাদ