শনিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের পত্রিকা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. একদিন প্রতিদিন
  7. কোভিড-১৯
  8. খেলা
  9. চাকরি
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. জনপ্রিয় সংবাদ
  12. জাতীয়
  13. ডাক্তার আছেন
  14. দরকারি
  15. দৃষ্টিপাত

কবিতা আবৃত্তি শিশুদের বাচনভঙ্গিকে সৌন্দর্যময় করে তুলে

প্রতিবেদক
newsupload
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

সরকারি মদনমোহন কলেজ, সিলেট-এর পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কবিতা আবৃত্তি শিশুদের বাচনভঙ্গিকে সৌন্দর্যময় করে তুলে। এর মাধ্যমে তারা সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহী হয়। যা বইয়ের সাথে তাদের সম্পর্ককে আরো বৃদ্ধি করে। বইপাঠের মাধ্যমে তাদের মধ্যে আলোকিত চিন্তাচেতনা ও ধ্যান-ধারণা সৃষ্টি হয়। যা তাদেরকে উন্নত মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় ‘বিশেষ’ ও ‘ক’ গ্রæপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বইমেলা উপকমিটির সদস্য দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল বইমেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদের সাবেক সাহিত্য ও সংস্কতি সম্পাদক কবি নাজমুল আনসারী, বইমেলা উপকমিটির সদস্য শিশুসাহিত্যিক মিনহাজ ফয়সল। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও সাহিত্য সমালোচক বাছিত ইবনে হাবীব ও কবি মামুন সুলতান। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নলেজ হারবার স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজওয়ার আলম। প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ‘বিশেষ’ গ্রæপে প্লে থেকে ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের বিষয় ছিল কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভোর হলো’ কবিতা। ‘ক‘ গ্রæপের প্রথম অংশ ২য় থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের বিষয় ছিল আল মাহমুদের ‘পাখির মতো’ কবিতা। ‘বিশেষ’ গ্রæপের বিজয়ীরা হলেন : প্রথম-অপরাজিতা রায়, দ্বিতীয়-উমর জাওয়াদ আহমেদ এবং তৃতীয়-মমতা জান্নাত নওরীন। ‘ক’ গ্রæপের বিজয়ীরা হলেন : প্রথম-মানজুবা মাহিরা, দ্বিতীয়-আফসানা আক্তার মুন্নি এবং তৃতীয়-তাজকিয়া তাসনিম।
সভাপতির বক্তব্যে সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, জ্ঞান-অর্জনের মাধ্যমে মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঠাগার ছিল বাগদাদে। সেখান থেকে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদেও অসংখ্য গ্রন্থ আছে, যেগুলো প্রাচীন, মধ্যযুগ এবং ঔপনিবেশিক যুগের ইতিহাস লেখা আছে। আমরা যদি আমাদের প্রজন্মকে বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারি, তবেই তারা জ্ঞানের আলোকে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে।
উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এ এইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে। বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা। ৭ ডিসেম্বর শনিবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (খ, গ ও ঘ গ্রæপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ - জনপ্রিয় সংবাদ